স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল (এনসিডিসি) ও চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে আর্সেনিকোসিস ব্যবস্থাপনার জন্য সক্ষমতা উন্নয়নে ডাক্তারদের ৩ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ২১ মার্চ সোমবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, এমওসিএস ডা. মোঃ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এফ এম জাহিদুল ইসলাম।
২৩ মার্চ কর্মশালার সমাপ্তি ঘটবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, দুষিত পানি পান করলে কলেনা আমাশয়, টাইফয়েড ও ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগ হতে পারে। এছাড়া পেটের পীড়া ও চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর্সেনিকযুক্ত পানি দীর্ঘদিন পান করলে হাতে-পায়ে এক ধরণের ক্ষত বা ঘা তৈরী হয়। ইহা একটি ধাতব পদার্থ। এ রোগের সহজ কোনো চিকিৎসা নেই। আর্সেনিক দূষণে যে সব শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাই আর্সেনিকোসিস রোগ নামে পরিচিত। আর্সেনিক একটি শক্তিশালী বিষ। এর কোনো রং, গন্ধ ও স্বাদ নেই। মাত্র ১০০ মিলিগ্রাম আর্সেনিকে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করতে চিকিৎসকদেও আন্তরিক ভূমিকা রাখতে হবে।
Discussion about this post