চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, রবিবার দেশে একটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার যায়নি। চট্টগ্রামবাসী এই ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণের এই ভোট বর্জন ইতিহাসের মাইল ফলক হয়ে থাকবে। ভোটার বিহীন এই নির্বাচন ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করলো। আওয়ামীলীগ প্রহসনের এই নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রেখেছে।সকাল হতেই বিভিন্ন বস্তি,কলোনিতে ডামি নির্বাচনের প্রার্থীদের লোকেরা জোর পূর্বক ভোটারদের অটোরিকশায় করে কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে জোর পূর্বক রেখে দিয়েছে উৎসবমুখর ভোট দেখাতে। তাই আওয়ামী লীগের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। কারণ জনগণ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। চট্টগ্রামের মানুষ এই জালিম সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। জনগণের নীরব ভোট প্রত্যাখানে ফ্যাসিবাদ সরকারের পরাজয় হয়েছে। এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তিনি ভোট বর্জন ও হরতাল পালন করায় চট্টগ্রামবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি রবিবার (৭ জানুয়ারী) দুপুরে নগরীর জুবলী রোড় ও তিন পুলের মাথা এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ডামি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, এই ভূয়া নির্বাচনে ভোটের হার ছিল খুবই নগণ্য। কিন্তু গণভবন থেকে ভোটের হার বৃদ্ধি করে বিজয়ীদের নাম নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে। নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন তাই পাঠ করে শুনাবে। এই নির্বাচনেও ১৪ ও ১৮ সালের সেই ভোট ডাকাতির কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এই সরকার দেশ ও জনগণের জন্য একটি মহাবিপদ ডেকে এনেছে। তাই এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের বিদায় না করা পর্যন্ত জনগণের মুক্তি আসবে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ একদফার দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ ভোট চুরির পুরানো অভ্যাস বদলাতে পারেনি। জনগণ তাদের ভোট বর্জনের উচিত জবাব আওয়ামী লীগের মুখের উপর বসিয়ে দিয়েছে। জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখান করে ভোট দিতে যায়নি।হরতাল জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করেছে। তাদের মনে রাখা উচিত বাংলার মজলুম মানুষেরা পরাজয় মানে না। আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব। ইনশাআল্লাহ জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য জসিম উদ্দিন শিকদার, মহানগর বিএনপি নেতা নকিব উদ্দীন ভূইয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, মো. ফয়সাল, মো. রাফসান।
এছাড়া হরতালের সমর্থনে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আলিফ উদ্দিন রুবেলের নেতৃত্বে রবিবার দুপুরে চট্টেশ্বরী মোড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে কাজীর দেউরী ও আসকার দিঘীর পাড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
Discussion about this post