চট্টগ্রামে গতকাল সকাল থেকেই গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে । যান্ত্রিক সংকটে আমদানিকৃত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
এতে করে চট্টগ্রামের কাফকো, সিইউএফএল, শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ গ্যাসনির্ভর সব শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। গ্যাস নেই ৬৮টি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনসহ কয়েক হাজার বাণিজ্যিক এবং ৬ লাখেরও বেশি আবাসিক গ্রাহকের সংযোগে।
পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে রান্নার চুলা। চট্টগ্রামকে আমদানিকৃত গ্যাস নির্ভর করে ফেলায় দেশের সিলেট কিংবা কুমিল্লা অঞ্চলের গ্যাস এনে জরুরি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সুযোগও নেই।
সূত্র বলেছে, সংস্কার কাজ শেষ করে সিংগাপুর থেকে আনা এলএনজিবাহী জাহাজ (টার্মিনাল) মহেশখালীতে সাগরের তলদেশে পাইপ লাইনে সংযোগ দেয়ার সময় গতকাল বিপর্যয় ঘটে। জাহাজের সাথে পাইপের সংযোগ দেয়া সম্ভব না হওয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
চট্টগ্রামে এই পর্যন্ত ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপ লাইনের গ্যাস দিয়ে কয়েক ঘন্টা চললেও ভোররাত থেকে পুরো চট্টগ্রামে গ্যাস প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।
চট্টগ্রামে আগে সিলেট এবং কুমিল্লা অঞ্চলের গ্যাস আনা হতো বিদ্যমান আশুগঞ্জ বাখরাবাদ পাইপ লাইন দিয়ে। এলএনজি আমদানি শুরু করার পর আশুগঞ্জ বাখরাবাদ পাইপ লাইনকে বাল্ব লাগিয়ে ওয়ান ওয়ে করে ফেলা হয়। এতে চট্টগ্রামের দিক থেকে গ্যাস শুধু নেয়া যায়, চট্টগ্রামে আনা যায় না।
গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নগরীসহ পুরো চট্টগ্রামে গ্যাসের হাহাকার শুরু হয়েছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কর্মকর্তারা বলেছেন, এলএনজি টার্মিনালের সাথে পাইপ লাইনের সংযোগ দেয়ার চেষ্টা চলছে। তবে এতে কতক্ষন সময় লাগবে তা নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলেও চট্টগ্রাম পর্যন্ত সেই গ্যাস এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ঘন্টা কয়েক লেগে যাবে। এতে করে আজ গ্যাস সরবরাহ আদৌ শুরু কিংবা স্বাভাবিক হবে কিনা তা নিয়ে কর্মকর্তারা সংশয়ে রয়েছেন।
এদিকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয় বাসা বাড়িতে গ্যাস না থাকায় খাওয়া-দাওয়ায় দারুন কষ্ট পরে গেছে সাধারণ মানুষ।
Discussion about this post