খাগড়াছড়িতে বর্ণিল আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের উদ্যােগে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে বরণ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়,
শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রাটি উদ্ভোধন করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান ও জেলা পুলিশ সুপার মুক্তাধর। শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানিয়ে বক্তরা বলেন,পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। পূরনো বছরকে বিদায় আর নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তাধর বলেন, অতীতের সকল দুংখ কষ্ট গ্লানিকে মুছে ফেলে,সবার কল্যাণ কামনা করে এ নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া ও গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল এই নববর্ষ। শুভ নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ উপলক্ষে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক।সবাই যেনো নির্বিগ্নে আজ এই উৎসব মূখর দিনটি আনন্দের সহিত পালন করতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পৌরসভা এলাকার এক বাসিন্দা দীপ্ত জানান,সব বাঙালিরাই মুখিয়ে থাকেন পহেলা বৈশাখের দিকে। কারন বাঙালিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এই নববর্ষ। মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখি মেলা, মিষ্টিমুখ, কোলাকুলি, হালখাতা, আড্ডা, এবং নতুন জামা পরিধানের মধ্যে দিয়ে নতুন বছরকে আহবান জানানো ও বরণ করে নেয়া হয়। এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্টি হয়ে পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নববর্ষ উদযাপন কারী সর্বস্তরের জনগণ।
শোভাযাত্রা ও আলোচনা শেষে স্থানীয় শিল্পীদের মনমুগ্ধকর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা উপভোগ করেন, জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান। পুলিশ সুপার মুক্তাধর।
এসময় এই আনন্দ মূখর উৎসবে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ,জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
Discussion about this post